বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দলছুট হয়ে জামানত হারালেন শফি

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:৪৭

বিএনপির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন শফি আহমদ চৌধুরী। এ জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। দলছুট হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে লজ্জায় পড়তে হলো প্রবীণ এই রাজনীতিককে। শনিবার হওয়া সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন তিনি।

এর আগে পাঁচবার সিলেট-৩ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন শফি আহমদ চৌধুরী। একবার নির্বাচিতও হয়েছিলেন। চারবার পরাজিত হলেও বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে শক্ত লড়াই গড়ে তুলেছিলেন। এই পাঁচবারই শফি চৌধুরী ছিলেন বিএনপিদলীয় প্রার্থী।তবে এবার একেবারেই ব্যতিক্রম। তিনি এবার বিএনপির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এ জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। দলছুট হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে লজ্জায় পড়তে হলো প্রবীণ এই রাজনীতিককে। শনিবার সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন শফি।এই নির্বাচনে শফি পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ১৩৫ ভোট। জামানত হারিয়েছেন ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। তিনি পেয়েছেন ৬৪০ ভোট।নির্বাচনে মোট ভোট পড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯১টি। প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশ না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী তাদের দুই জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

শফি আহমদ চৌধুরী প্রদত্ত ভোটের ৪.২৫ শতাংশ ও জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ০.৫৩ শতাংশ পেয়েছেন।সিলেটের এই উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন শফি আহমদ চৌধুরী। প্রার্থী হওয়ায় দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শফি চৌধুরী বলেছিলেন, এলাকার মানুষের চাপে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার লোকজন তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন।তবে ভোটের ফলে এই চাপের প্রভাব মেলেনি। মাত্র হাজার পাঁচেক ভোট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সিলেট-৩ আসনের সাবেক এই সাংসদকে।৮৩ বছর বয়সী শফি চৌধুরী এই নির্বাচনের প্রচারে এটাই তার শেষ নির্বাচন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেষ নির্বাচনে তাকে পেতে হলো জামানত বাজেয়াপ্তের তিক্ত স্বাদ।

প্রতিক্রিয়া জানতে শনিবার রাতে শফি আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।তবে দুপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইভিএমের কিছু গোলযোগ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে।শনিবার রাতে সিলেটের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা প্রতীকে ৯০ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের আতিকুর রহমান আতিক পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট।চলতি বছরের ১১ মার্চ এ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণা করা হলেও কয়েক দফায় পিছিয়ে শনিবার ভোট হয়।

এ বিভাগের আরো খবর