বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ই-অরেঞ্জের সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৫৫

পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘২৮ আগস্ট রাসেল নামের এক ভুক্তভোগী সোহেল রানা ও ই-অরেঞ্জের মালিক-কর্মচারীসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন। ওই অনুযায়ী আদালত আমাদের মামলা নিতে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত চলছে।’

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানাসহ ১০ জনকে আসামি করে নতুন একটি মামলা করেছেন ই-অরেঞ্জের এক গ্রাহক।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলাটি গ্রহণ করতে ইতোমধ্যেই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৮ আগস্ট রাসেল নামের একজন ভুক্তভোগী সোহেল রানা ও ই-অরেঞ্জের মালিক-কর্মচারীসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন।

‘ওই অনুযায়ী আদালত আমাদের মামলা নিতে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমরা মামলাটি এন্ট্রি করি। মামলার তদন্ত চলছে।’

মামলায় সোহেল রানাসহ অন্য আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সিওও আমন উল্লাহ, নাজনীন আক্তার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আবদুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।

বাদী তার মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন।

ইশতিয়াক হোসেন টিটু নামের ওই গ্রাহক তার অভিযোগে বলেছেন, আসামিরা সকলেই ই-অরেঞ্জের মালিক, সহযোগী ও কর্মচারী। ই-অরেঞ্জের সাইটে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখে সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত পণ্য কিনতে বিভিন্ন মাধ্যমে বাদীসহ ১০ জন ৭৮ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা প্রদান করেন। তবে আসামিরা সেসব পণ্য সরবারহ না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন।

গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির সিওও আমান উল্লাহ ও সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেল।

এছাড়া শনিবার রাতে ই-অরেঞ্জের কথিত মালিক এবং বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে আটক করার কথা জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম।

তবে এ বিষয়ে বিএসএফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানানো হয়নি।

এপ্রিল মাস থেকে অর্ডার করা কোনো পণ্যের ডেলিভারি পাচ্ছিলেন না ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা।

এর ধারাবাহিকতায় ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের মালিক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন একজন গ্রাহক।

ওই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সোনিয়া ও তার স্বামী। পরে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান সিওওকে। বর্তমানে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর