পরীমনি, বোট ক্লাব ও ক্লাবটির সভাপতি পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নিয়ে জাতীয় সংসদে দেয়া বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ চেয়েছেন সরকারি দলের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ।
জাতীয় সংসদে চলমান অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডারে শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে হারুন জানতে চান, আলোচিত বোট ক্লাব অনুমোদন নিয়ে গড়ে উঠেছে কি-না। অনুমোদন থাকলেও বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য আইন অনুযায়ী কীভাবে পুলিশের আইজিপি এই ক্লাবের সভাপতি হন?
হারুন বলেন, ‘আমার জানা নাই ৫০ বছরের ইতিহাসে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এরকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেপরোয়া কর্মকাণ্ড, মাদক কারবারের সঙ্গে তারাও জড়িয়ে পড়েছে।’
বিএনপির এই সংসদ সদস্যের এসব বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন হুইপ আবু সাঈদ। শনিবার পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এই দাবি জানান।
আবু সাঈদ বলেন, ‘তিনি (হারুনুর রশীদ) কী কারণে যেন পরীমনির বিষয়ে বড় বেশি আগ্রহী। আমি জানি না, তার বাসায় কী অবস্থা। এর আগেও তিনি পরীমনির বিষয়ে সংসদে কথা বলেছিলেন। গতকালও সুযোগ পেয়ে পরীমনির বিষয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন।
‘হারুনুর রশীদ অপ্রাসঙ্গিকভাবে পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে সত্যের প্রচুর অপলাপ রয়েছে।’
তাই তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর কাছে আবেদন জানান তিনি।
চলমান অধিবেশনে শুক্রবার হারুন বলেন, ‘দেশে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় হাউস পার্টি, ডিজে পার্টির নামে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। আমরা আশা করি এর বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
‘বোট ক্লাবে নিয়মিত মদ্যপান করা হয়, তাস খেলা হয়, জুয়া খেলা হয়। এ রকম একটি ক্লাবে পুলিশের প্রধান আইজিপি সভাপতি কোনো আইনে থাকতে পারেন কি না, এ বিষয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেছিলাম।’
তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দলের হুইপ আবু সাঈদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ, জুয়া, হাউজি, রেসকোর্স আইন করে বন্ধ করেছিলেন।
‘কিন্তু শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়াউর রহমান বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম বলে বাংলাদেশে মদ, জুয়া, হাউজি সবকিছু জায়েজ করে দিয়েছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশে মদ, জুয়া, হাউজি বন্ধ করা খুব দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’