ঢাকার ধামরাইয়ে ফেসবুকে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ দেয়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে ছাত্রলীগের নেতাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ এখনও মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। এ ঘটনায় কেউ আটকও হননি।
আহত সজীব দাস সজল ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তার অবস্থা গুরুতর বলে দাবি স্বজনদের।
ধামরাই থানায় শুক্রবার রাতে লিখিত অভিযোগ দেন আহত ছাত্রলীগ নেতা সজীবের বাবা বিমল দাস।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিমল দাস শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওর মাথায় ৯টা সেলাই দিতে হয়েছে। চিকিৎসকরা ওকে এখনই হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিবে না বলে জানিয়েছেন। থানায় করা অভিযোগ এখনও মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। আমাদের পরিবারের সবাইকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
ছাত্রলীগ নেতা সজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাসার সামনে আমার কর্মী নাজমুলকে মারধর করতে দেখে বাধা দেই। তখন জানতে পারি, ফেসবুক গ্রুপের কোনো এক পোস্টে নাজমুল হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছিল। এটা নিয়েই বিতর্কের জেরে নাজমুলকে মারধর করছিল রিপনসহ কয়েকজন। পরে আমি ওদের মিলিয়ে দেই।
‘বিষয়টা নিয়ে আবার এলাকায় মীমাংসা করা হয়। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইকে বাড়ির পাশেই রাস্তায় মারধর করতে থাকেন রিপন, হালিম, সেলিমসহ কয়েকজন বখাটে। এরপর বাবা, মা ও আমি বাধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করে তারা। এ সময় আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। লাঞ্ছিত করা হয় মা-বাবাকে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে আমাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।’
ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নজরুর ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, দুইপক্ষের মধ্যেই গণ্ডগোল হয়েছে। আহত ছাত্রলীগ নেতাকে আমি দেখেও এসেছি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিবাদীদের পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’