অনলাইনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিবন্ধন সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অনলাইনে এ পর্যন্ত ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় এসেছে ২ লাখ ৮২ হাজার ২০২টি প্রতিষ্ঠান।
২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩টি।
বিদায়ী অর্থবছরে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৯টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছিল। এই বৃদ্ধির হার প্রায় ৬৯ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, চলতি অর্থবছরের মধ্যে যোগ্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মাসিক রিটার্ন দাখিল করতে হলে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এ জন্য যোগ্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নেয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে এনবিআরের অধীনে ভ্যাট কমিশনারেটের সংখ্যা ১২টি।
জরিপ অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে। এই কমিশনারেটে নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৯২টি।
এনবিআর বলেছে, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে ভ্যাট নিবন্ধন লাগে। এটি ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না।
আগে ভ্যাট নিবন্ধনের সংখ্যা ছিল ১১ ডিজিটের। প্রচলিত প্রথায় নিবন্ধন নেয়া হতো। ২০১৫ সালে ভ্যাটের অনলাইন প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
নিবন্ধন সংখ্যা ১১ ডিজিট থেকে কমে ৯ ডিজিটে আনা হয়। একে বলা হয় বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা বিআইএন।
এই নম্বরটি পেতে হলে নিবন্ধন প্রয়োজন, যা ব্যবহার করে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রির বিপরীতে সংগ্রহ করা ভ্যাট আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
এনবিআরের এক আদেশে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্ধারিত সময় জমা দিতে না পারলে সুদ ও জরিমানা আরোপ করা হয়।
বার্ষিক টার্নওভার ৩০ লাখ টাকার নিচে হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হয় না। যদি টার্নওভার ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে ৮০ লাখ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। বার্ষিক টার্নওভার ৮০ লাখ টাকার বেশি হলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য।