বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অপরিকল্পিত প্রকল্প উন্নয়নে বড় বাধা’

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:৩১

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প নিয়ে অবকাঠামোসহ যেকোনো উন্নয়ন কাজ করলে যেমন তা টেকসই হয় না, তেমনি উন্নয়নের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় না। বরং সুফলের চেয়ে কুফল বয়ে আসে। তাই সব উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার আগে তার ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে এগোতে হবে।’

যাচাই-বাছাই করে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে এলজিইডিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে শাস্তি পেতে হবে বলেও সবাইকে সতর্ক করেন মন্ত্রী।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প নিয়ে অবকাঠামোসহ যেকোনো উন্নয়ন কাজ করলে যেমন তা টেকসই হয় না, তেমনি উন্নয়নের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় না। বরং সুফলের চেয়ে কুফল বয়ে আসে। তাই সব উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার আগে তার ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে এগোতে হবে।’

কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’

প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে ফিজিবিলিটি স্টাডির গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এনভায়রনমেন্টাল, জিওলজিক্যাল, হাইড্রোলোজিক্যাল, সোস্যাল ইমপ্যাক্ট, ডেমোগ্রাফিক সাইজ এবং ইকোনমিক আউটপুট বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প নিতে হবে। এসব বিষয়ে স্ট্যাডি না করে প্রকল্প নেয়া যাবে না। নিলে সুফল মিলবে না।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা

এ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গৃহীত প্রকল্পগুলো যদি উৎপাদনশীল, ইনকাম জেনারেটিং, টেকসই এবং সময়মত শেষ না হয় তাহলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব হবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্প নেয়া হয়, বাস্তবায়ন করার পর দেখা যায় তার সুফল মিলছে না।’

প্রকল্পের নকশায় কোনো ত্রুটি রাখা যাবে না বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ, ইউনিয়ন ও উপজেলা রাস্তার ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নেভিগেশন সুযোগ রেখে ব্রিজ নির্মাণ করে নৌ পথগুলো চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

বিভিন্ন ইটভাটায় তৈরি করা ইটের গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই ইট দিয়ে রাস্তা পাকা করায় সড়ক টেকসই হচ্ছে না।’

বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

এলজিইডির সমস্ত রাস্তা আইডিভুক্ত করার পর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রাস্তা আইডিভুক্ত করা নেই। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সব রাস্তা আইডিভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

আইডি নাম্বার অনুযায়ী যদি রাস্তার বরাদ্দ দেয়া হয় তাহলে সুষ্ঠুভাবে রাস্তা নির্মাণ এবং সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে বলেও মন্তব্য তার। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে এক রাস্তায় দুই প্রতিষ্ঠান অথবা দুইবার তিনবার কাজ করার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

তাজুল ইসলাম বলেন, “শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে সরকার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ দর্শন বাস্তবায়ন করছে। এই দর্শন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আর এই কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলা গড়ে উঠবে।’’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

এ ছাড়া এলজিইডি, ডিপিএইচই, সকল সিটি করপোরেশন ও ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রতিনিধি এবং চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর