বাসে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠিতে মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষে আন্তঃজেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নের একটি পক্ষ।
ঝালকাঠির আটটি আন্তঃজেলা রুটে শনিবার দুপুর একটা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ নিউজবাংলাকে জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে মালিকপক্ষের একজন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাস শ্রমিক মো. মেহেদী জানান, বরিশাল-খুলনা রুটের বাস সোহাগ পরিবহনে লোকাল যাত্রী নেয়া হচ্ছিল। এতে বরিশাল-পিরোজপুর রুটের লোকাল বাস সৌদিয়া পরিবহনের বাস মালিকের ছেলে ও বাসটির সুপারভাইজার সাইদুল ইসলাম বাধা দেয়।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় সাইদুলের হাত ভেঙে যায়। তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন সাইদুল বলেন, ‘ডাইরেক্ট গাড়িতে লোকাল যাত্রী উঠতে বাধা দেয়ায় আমার ওপর হামলা চালাইছে সোহাগের স্টাফ শাহীন।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌদিয়া পরিবহনের সুপারভাইজার সাইদুল ইসলাম
এ ঘটনায় বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কেউ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, তারা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাস চলাচল শুরু হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
ঝালকাঠি থেকে বরিশালগামী যাত্রী সুলতান আহম্মেদ বলেন, ‘তাদের সামান্য ঘটনার জেরে আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই।’
আরেক যাত্রী রুকাইয়া বেগম বলেন, ‘বরিশাল মেডিক্যালে রোগী দেখতে রওনা হইছি। এখন বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনি বাস বন্ধ। অটোতে বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হবে।’
জামাল হোসেন নামের আরেক যাত্রীর অভিযোগ, কদিন পরপরই এই রুটে মালিক-শ্রমিকদের নিজেদের দ্বন্দ্বে বাস বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ পড়ে বিপদে। তিনি এর একটি স্থায়ী সমাধান দাবি করেন।
আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তারা জরুরি সভা ডেকেছেন। আশা করছেন বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।