বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেত্রী বলেছেন হতাশ হবেন না: ফখরুল

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:২৩

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র, মানুষ ও দেশ বাঁচাতে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ দেশের মানুষ কখনও পরাজিত হয় না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন হতাশ হবেন না, মনে সাহস রাখবেন। জয় আসবেই।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতা-কর্মীদের হতাশ না হয়ে মনোবল ধরে রাখার উপদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি নিজেদের ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘কেউ এসে আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে না। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আমরা আজও মুক্ত করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। কারণ, ক্ষমতায় আছে দানবীয় সরকার। আমরা চেষ্টা করেছিলাম ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যজোটের সমন্বয়ে দেশে পরিবর্তন আনার, কিন্তু রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে আমাদের সে চেষ্টা সরকার ভূলুণ্ঠিত করে দেয়।

‘তাই বলে কি আমরা বসে থাকব। গণতন্ত্র, মানুষ ও দেশ বাঁচাতে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ দেশের মানুষ কখনও পরাজিত হয় না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন-হতাশ হবেন না, মনে সাহস রাখবেন। জয় আসবেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৬৬, ৬৯ ও ৭১ আর ২০২১ সাল এক নয়। নতুন বিশ্বকে আমাদের বুঝতে হবে। শাসকগোষ্ঠী পাল্টিয়েছে। ধরন পাল্টিয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। সকলের মাঝে আজ হতাশা বিরাজ করছে, কেন? আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছে। এরশাদকেও ৯ বছর শাসন করার পর বিদায় নিতে হয়েছে। এই বর্তমান বাকশালী শাসকগোষ্ঠীকেও বিদায় নিতে হবে। তবে একটু অপেক্ষা করতে হবে।’

কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

‘পরীমনি ইস্যুতে মিডিয়াকে ব্যস্ত রাখছে সরকার’

সরকারের অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে পরীমনি ইস্যু দিয়ে মিডিয়াকে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন ছদ্মবেশী বাকশাল চলছে। সাংবাদিকরাও আজ সেন্সর করে নিউজ করছেন। অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে পরীমনি ইস্যু দিয়ে মিডিয়াকে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে।

‘পরীমনিকে কেন বারবার রিমান্ডে নেয়া হয় তার বিরুদ্ধে, নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে রুল জারি করে উচ্চ আদালত। যখন আমাদের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিনা দোষে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে লাগাতার রিমান্ডে নেয়া হয়, তখন তার বিরুদ্ধে রুল জারি হয় না। অর্থাৎ কেউ স্বাধীন নয়। কারও কোনো স্বাধীনতা নেই।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ কেন জিয়ার লাশ নিয়ে কথা বলছে। কারণ তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। আজকে বিষয় হচ্ছে টিকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজকে বলছে ১০ লাখ টিকা আসবে। কালকে বলছে আজ আসবে না, কাল আসবে। টিকা নিয়ে চলছে ধোঁকাবাজি। আসল বিষয়টি হলো কমিশন। যেখানে বেশি কমিশন পাওয়া যায়, সেদিকেই ঝুঁকছে। চার ভাগ মানুষকেও এখন টিকার আওতায় আনতে পারেনি।

‘সরকার লকডাউন দিয়ে তা কার্যকর করতে পারে না। কারণ, মানুষের ঘরে খাবার নেই। দেয়নি প্রণোদনা। যেটা দিয়েছে সেটা লুটের জন্য। হাজার কোটি টাকা বিলি করলেও তা পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। এসব লুটপাটের ঘটনা অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাতেই বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক বিষয় সামনে নিয়ে আসছে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ৭০ সালেও ৪০ পয়সা দরে চাল খাওয়াবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরে ৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় এই আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলেন। আত্মসমর্পণ করলেন। আমরা পালিয়ে যাইনি, যুদ্ধ করেছি।’

বর্তমান সরকারের অধীনে দেশ আজ মহাসংকটে আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কৃষক নায্যমূল্য পাচ্ছে না। করোনার থাবায় চাকরি হারাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। সরকারের এই দিকে কোনো দৃষ্টি নেই। দেশ আজ মহাসংকটে। এই সংকট কোনো ব্যক্তির নয়, গোটা জাতির। দেশের অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দেশ ক্ষয় হতে থাকবে।’

‘সীমান্ত ক্রস করলেই গুলি করে মারা হচ্ছে। ভারতের কাছে তারা বিচার চাইতেই ভয় পায়। চার বছরেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারল না। কারণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি।’

এ বিভাগের আরো খবর