করোনাভাইরাস মহামারিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা ক্লাসের মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে শনিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পাঠদান বন্ধ থাকেনি। টেলিভিশন ও অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রেখেছিলাম।
‘যখন আমরা দেখলাম, একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর টেলিভিশন ও অনলাইন ব্যবহারের সুযোগ নেই বলে তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তখন আমরা অ্যাসাইনমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি।’
দীপু মনি বলেন, ‘খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ষোল আনা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারিনি। কোথাও কোথাও কিছু ঘাটতি তো আছেই।
‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরে সেই ঘাটতি পূরণের জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ ক্লাস করানোসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সংক্রমণের হার কমতে শুরু করায় শিক্ষামন্ত্রী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।