মেডিক্যালের ৮০ শতাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রাজধানীর তেজগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে শনিবার সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ৮০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ইতিমধ্যে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। টিকা প্রাপ্তির ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাকিদের টিকাও নিশ্চিত করা হবে। চীনের কাছে নতুন করে ছয় কোটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সাড়ে ১০ কোটি টিকা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ এসব টিকা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই সাড়ে ১৬ কোটি টিকা পেলে সংকট কেটে যাবে।
গণটিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, আগামী সাত তারিখ থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
‘প্রথম ডোজ যে কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে, সেই কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজও দেয়া হবে। গ্রামের টিকা নেয়ার মানুষের আগ্রহ কম ছিল। আমরা তাদের অনুপ্রাণিত করতেই এই টিকা কার্যক্রমের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম।’
দেশে নার্সের সংখ্যা তুলনামূলক কম জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের পরিবর্তে তিনজন নার্স দরকার। এদিক থেকে আমরা পিছিয়ে। সরকারিভাবে নার্স ও চিকিৎসক সমান। নার্সের সংখ্যা আরও কম ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে এটি বাড়াতে বাড়াতে চিকিৎসকের সমান করা হয়েছে।
‘আমাদের দেশে এখন নিবন্ধনপ্রাপ্ত নার্সের সংখ্যা ৭০ হাজার, যারা সরকারি এবং বেসরকারিভাবে কাজে নিয়োজিত আছেন। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষক যে কয়জন আছে, তার তিন গুণ নার্স করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী নার্সের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সংক্রমণের মাত্রা ১০ শতাংশের ওপরে থাকলেও আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৮ বছরের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
শিক্ষার্থীদের কোন প্রক্রিয়ায় টিকা দেয়া হবে, সে বিষয়ে রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান মন্ত্রী।