বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিঘির পারে টিকিট কেটে মাছ ধরার ধুম

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩৮

মাছ ধরা উৎসব হয়েছে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। মাছ ধরতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিঘির পারে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন মাছ শিকারিরা। কেউ কেউ সেখানেই মাছ রান্না করে ছোটোখাটো পিকনিকও সেরে নিয়েছেন। 

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার শালমারা গ্রামে অবস্থিত সুতানাল দিঘি। স্থানীয় লোকজনের কেউ এটিকে কমলা রাণী, কেউ আবার রাণী বিহারিণী নামেও ডাকে।

প্রতিবছরই এই দিঘিতে টিকিট কেটে মাছ শিকার করতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মাছ শিকারিরা। তাদের জন্য দিঘির পারে বানানো থাকে মাচা।

এবার এই মাছ ধরা উৎসব হয়েছে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। মাছ ধরতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিঘির পারে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন মাছ শিকারিরা। কেউ কেউ সেখানেই মাছ রান্না করে ছোটোখাটো পিকনিকও সেরে নিয়েছেন।

এবার দিঘির পারে মাছ শিকারের জন্য রাখা ছিল ৮০টি মাচা। প্রতিটি মাচা ১৭ হাজার ৫০০ টাকা টিকিটে বিক্রি করা হয়েছে। মাছ ধরতে সেখানে গিয়েছেন জামালপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের শৌখিন মাছ শিকারিরা।

তবে এবার মাছ কম পাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছেন তারা।

টাঙ্গাইল থেকে যাওয়া মনিরুল হোসেন ইমন বলেন, ‘১৯৮৫ সাল থেকে আমি নালিতাবাড়ীর এ দিঘিতে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে মাছ শিকারে আসি। তবে এবার তাদের মাছগুলো আকারে ছোট। ২০০ থেকে ৬০০ বা ৭০০ গ্রাম ওজনের মাছ বেশি। বড় মাছের দেখাই মেলে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন টিকিট কিনি তারা আমাদের বলেছিল যে ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের মাছ আছে। কিন্তু তা তো আমরা একটাও দেখলাম না কারও বড়শিতে উঠতে।’জামালপুরের আহসন আলী স্বপন বলেন, ‘মাছ শিকার করতে ভালো লাগে। তাই শখের বশে যেখানে মাছ শিকারের খবর পাই সেখানেই যাওয়ার চেষ্টা করি। এরই মধ্যে দেশের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি পুকুরে মাছ শিকারের অভিজ্ঞতা আছে।

‘তবে এখানে মাছগুলো আকারে ছোট। আধা কেজি থেকে এক কেজির মাছই বেশি ধরা পড়ছে। আমরা ৯ জন এসেছি। ১৭ হাজার টাকায় মাচা কিনেছি। নিজেদের খাবার, মাছের খাবার, মাইক্রো ভাড়া সব মিলিয়ে আমার ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অথচ অর্ধেক টাকাও উঠবে না।’

ময়মনসিংহের দিদার হকের ধারণা, মাছের পরিমাণের তুলনায় দীঘিতে এবার ছিপ বেশি হয়ে গেছে। মাছও ছোট। তাই এবার সবারই লোকসান হবে।

মাছ ধরার এই উৎসবের আয়োজন করে শালমারা সুতানাল ভূমিহীন সমবায় সমিতি।

এর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন জানান, ‘সমিতির আগের কমিটির লোকজন মাছ ছাড়ে নাই। আমরা এসে মাছ ছাড়ছি। তাই মাছগুলো খুব বেশি বড় হয়নি। আমাদের খালে বড় বড় মাছ আছে। তবে তুলনামূলক কম। এতে তো আমাদের কিছু করার ছিল না।’

এ বিভাগের আরো খবর