কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হচ্ছে রোববার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তফা।
এর আগে নির্ধারিত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট তিন দিনে মামলার প্রধান সাক্ষী ও বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী এবং সিনহা হত্যার ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রথম ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত থেকে সমন দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সেরেস্তাদার নুরুল কবির। নির্ধারিত তিন দিনে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন।
গত ২৩ আগস্ট প্রথম শুনানিতে মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। পরে তাকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত ও লিটন মিয়ার আইনজীবী শওকতসহ ১৫ আসামির পক্ষে দুই দিন জেরা করেন।
এরপর ২৪ ও ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মামলার অন্যতম সাক্ষী সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতের আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে একইভাবে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, আগেরবারের মতো রোববারও কারাগার থেকে আদালতে আনা হবে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ মামলার ১৫ আসামিকে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সন্তোষ বড়ুয়া জানান, চলতি বছরের ২৭ জুন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটির অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করে আদেশ দেন।
এরপর করোনায় আদালতে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পিছিয়ে যায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ। গেল মাসের ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট নির্ধারিত দিনে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তফা বলেন, ‘তিন দিনে ৫ জন করে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে আদালতে শেষ দিন পর্যন্ত ১০ জন সাক্ষী হাজিরা দিয়েছেন। ৩ দিনে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে মাত্র দুজনের। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছেন।’
পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান, আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।