সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন শনিবার। ভোটের আগ মুহূর্তে চলছে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
শেষ সময়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণের অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান।
সিলেট-৩ উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলামের কাছে শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিব।
দুপুরে হাবিবের পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ফারুক আহমদ এ অভিযোগ দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আতিকুর রহমান আতিক। তার দাবি, পরাজয় আঁচ করতে পেরে এমনটি করছেন হাবিব।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনি এলাকা বালাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে লাঙ্গলের প্রার্থী আতিকুর রহমান নিজে ও তার কর্মীরা ভোটারদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দিনরাত টাকা বিতরণ করেছেন।
হাবিব তার সমর্থক ও সাধারণ জনগণের মাধ্যমে এ খবর পান বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়। অর্থের বিনিময়ে ভোট ক্রয়ের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আতিক বলেন, ‘পুরো এলাকায় লাঙ্গলের পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে হাবিব বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হবেন। এমনটি আঁচ করতে পেরে তিনি মিথ্যে অভিযোগ তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’
হাবিবের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আতিক বলেন, ‘তিনি সব সময়ই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালিয়েছেন। শাটডাউনের সময়ও তিনি সভা-সমাবেশ করেছেন। তার কর্মী ও প্রশাসনের লোকজন আমার কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
শনিবার সিলেট-৩ উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। তবে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এখানে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে।
নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এবং লাঙ্গলের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক। এই তিনজন ছাড়াও ডাব প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
১১ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ২৮ জুলাই আসনটিতে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয়।