গ্রাহকের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার চারদিনের রিমান্ড ফেরত মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামি পক্ষে আইনজীবী শান্তনু ধর ও এস এম সাজেদুল ইসলাম রুবেল জামিন আবেদন করেন।
জামিন আবেদন শুনানির জন্য রোববার তারিখ রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এস এম সাজেদুল ইসলাম রুবেল।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান আসামিকে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।
২৯ আগস্ট আসামির চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন এক গ্রাহক। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি।
সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনের অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও এখন পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।
এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় ভুক্তভোগী তাহেরুল ইসলাম প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করেন।
এজাহারে অন্য আসামিরা হলেন আমান উল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিকরা।
১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীরা মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহর পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।
এর আগে ১২ আগস্ট তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।