বাগেরহাটে ধর্ষণ ও জোর করে গর্ভপাতের চেষ্টার অভিযোগ এনে ‘প্রেমিক’ ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক স্কুলশিক্ষক।
প্রেমিক যুবক সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যানের সন্তান।
নিউজবাংলাকে শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম।
এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই স্কুলশিক্ষকের। একপর্যায়ে ১৪ জুলাই শিক্ষকের ভাড়া বাসায় তারা ঘনিষ্ঠ হন। এর ৯ দিনের মাথায় বিয়ের কথা বলে নিজের বাড়িতে নিয়ে, জোর করে তার সঙ্গে শরীরিক সম্পর্ক করেন যুবক। এতে তিনি ‘অন্তঃসত্ত্বা’ হয়ে পড়েন।
২৯ আগস্ট প্রেমিকের বাড়িতে যান ওই শিক্ষক। সেখানে তাকে ধর্ষণ ও মারধর করা হয়। এ সময় তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন ছেলেটির মা।
গর্ভপাত করাতে ওই শিক্ষককে জোর করে বাগেরহাট শহরের দাসপাড়া মোড়ের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায় ওই যুবকের পরিবার। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে রাস্তার পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন শিক্ষক। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হলে যুবকের পরিবারের সদস্যরা সটকে পড়েন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বাড়িতে বেলা ১২টার দিকে যান এই প্রতিবেদক। কিন্তু বাড়ির গেটে তালা থাকায় কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি আজিজুল বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ এবং গর্ভপাতের চেষ্টার অভিযোগে ওই স্কুল শিক্ষক মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তি আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।