বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংসদে হারুনের আলোচনায় ‘বোটক্লাব-পরীমনি’

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:১১

এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমার জানা নাই ৫০ বছরের ইতিহাসে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এরকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেপরোয়া যেসব কর্মকাণ্ড, মাদক কারবারের সঙ্গে তারাও জড়িয়ে পড়েছে।’

আলোচিত ‘বোট ক্লাব’ কি অনুমোদন নিয়ে গড়ে উঠেছে? যদি অনুমোদন থাকেও বাংলাদেশ মাদক দ্রব্য আইন অনুযায়ী এই ক্লাবের সভাপতি কীভাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)- জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে সেটি জানতে চেয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

শুক্রবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে বোট ক্লাবসহ তিনটি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন হারুন। তবে শুক্রবার এ বিষয়ে বক্তব্য দেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিএনপির এমপি হারুনের বক্তব্যের সময় সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারা হইচই করেন।

হারুন বলেন, ‘দেশে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় হাউস পার্টি, ডিজে পার্টির নামে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। আমরা আশা করি এর বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

‘বোট ক্লাবের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল। সংসদের গত অধিবেশনে আমি এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছিলাম। সেদিন আমি জানতে চেয়েছিলাম, নদীর তীরবর্তী জায়গায় বোট ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে কি না!’

তিনি বলেন, ‘বোট ক্লাবে নিয়মিত মদ্যপান করা হয়, তাস খেলা হয়, জুয়া খেলা হয়। এ রকম একটি ক্লাবে পুলিশের প্রধান আইজিপি সভাপতি কোনো আইনে থাকতে পারেন কি না, এ বিষয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেছিলাম।’

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমার জানা নাই ৫০ বছরের ইতিহাসে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এরকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেপরোয়া যেসব কর্মকাণ্ড, মাদক কারবারের সঙ্গে তারাও জড়িয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেপ্তার ও জামিনের ঘটনাও বেশ নাড়া দিয়েছে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পরীমনি গণমাধ্যমে বলেছেন, কত নাটক করে তাকে ধরে নেয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছিল, শুধু অফিসে নেয়া হবে আর কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

‘পরীমনির ঘটনা তদন্তের তদারক কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব। র‌্যাব নিজেরা এই ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছিল। কারণ, এর পেছনে অনেক বড় শক্তি জড়িত। এদের যারা ব্যবহার করছে, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।’

এমপি হারুন বলেন, ‘পরীমনির ঘটনায় হাইকোর্ট পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, পরীমনি একজন নারী, অসুস্থ, চিত্রজগতের কর্মী জন্য জামিন দেয়া হয়েছে। এটা কোনো কথা হতে পারে? তাকে পরপর কেন তিন দিন রিমান্ডে নেয়া হলো, এটি নিয়ে হাইকোর্ট জজকোর্টের নথি তলব করেছেন। এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে পারসেপশনটা ভিন্ন হচ্ছে।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘র‌্যাব যে পরীমনিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছিল, গ্রেপ্তার করেছিল, তার বাড়িতে যে মিনি বার, এগুলো কি অসত্য?’

মোসারাত জাহানের মুনিয়া আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা তদন্তের জন্য নতুন করে র‌্যাবকে দায়িত্ব দেয়া হবে কি না, এ বিষয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেন হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে মুনিয়া নামে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। বসুন্ধরার এমডির সঙ্গে মুনিয়ার ফোনালাপ, তার সঙ্গে ছবিও গণমাধ্যমে এসেছে।’

হারুন জানতে চান, এ ঘটনার তদন্তভার র‌্যাবকে দেয়া হবে কি না। যদি না দেয়া হয়, তাহলে তিনি মনে করবেন এসব অপরাধে যারা জড়িত, সরকার তাদের চিহ্নিত করতে চায় না, আড়াল করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া দরকার। অপরাধগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দরকার।’

এ বিভাগের আরো খবর