প্রেমিকার ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী’ সন্দেহে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন একজন।
পুলিশ বলছে, ফেনী শহরের লুদ্দার পাড় এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় আজ মামলা হয়েছে। আহত যুবকের অবস্থা আশংকাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নওগাঁর বাটি গ্রামের দুই ভাই আলামিন মন্ডল ও তোফাজ্জল মন্ডল এবং একই জেলার ডায়মন্ড প্রামাণিক নামের এক যুবক সাত-আট বছর ধরে শহরের হাজী ফরিদ কলোনির একটি রুমে থাকতেন। তারা বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে বিক্রি করতেন।
তিন মাস আগে ডায়মন্ডের প্রেমিকা নওগাঁর পপি দাস আত্মহত্যা করেন। পপির আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী হিসেবে আলামিনকে সন্দেহ করে ক্ষুব্ধ ছিলেন ডায়মন্ড। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিন যুবক ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে ডায়মন্ড আলামিনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। তখন বড় ভাই তোফাজ্জল বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান ডায়মন্ড। আলামিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় তোফাজ্জলকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত আলামিনের পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পপি একদিন ডায়মন্ডের মোবাইল নম্বরে ফোন করেন। ফোনটি রিসিভ করেন আলামিন। আলামিন নিজের পরিচয় গোপন করে পপিকে গালমন্দ করেন। কষ্ট পেয়ে পপি আত্মহত্যা করেন। এর মধ্যে ডায়মন্ড নিজ এলাকায় গেলে বিভিন্ন মাধ্যমে পপির আত্মহত্যার কারণ জানতে পারেন। ডায়মন্ড ফেনীতে ফিরলেই আলামিনের সঙ্গে শুরু হয় বিরোধ।
আলামিনের চাচা আমিনুল ইসলাম মন্ডল ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আমিনুল ইসলাম মন্ডল নোয়াখালী থাকেন। শুক্রবার সকালে ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন জানান, আলামিনের চাচা ডায়মন্ডকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আলামিন তিন বছর আগে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী জয়নব বিবি এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।