বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতিরঝিলে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে দায়ী সিগারেটের আগুন

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:২৫

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, তিন তরুণ একটি সেপটিক ট্যাংকের ওপর বসে সিগারেট খাচ্ছিলেন। এ সময় ট্যাংকের ভেতর থেকে গ্যাস বের হয়ে আগুন ধরে যায়।

রাজধানীর হাতিরঝিলে ঘুরতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিন বন্ধুর দগ্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে সিগারেটের আগুন ও সেপটিক ট্যাংকে জমে থাকা গ্যাসকে দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হাতিরঝিলের মহানগর এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের স্ল্যাবের ওপর বসে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন আল কাবির, ফরহাদ আকাশ মইন ও সিয়াম।

ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তাদের সঙ্গে থাকা আরেক বন্ধু মাহি নাজমুস সাকিব ট্যাংকের নিচে থাকায় তিনি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।

ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী পলাশ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনটা পোলা ট্যাংকির ওপরে বইসা আছিল। একজন আছিল নিচে। ওরা ওই ট্যাংকের ওপরে বইসা সিগারেট খাইতেছিল। ওই টেংকির ঢাকনা দিয়া গ্যাস বাইরাইতাছিল। একসময় পট কইরা আগুন ধইরা গেছিল। এই সময় ওপরের তিনজন পুইড়া গেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে পোলায় টেংকির নিচে আছিল, ওই পোলায় কইছে, ওরা সিগারেট খাইতেছিল। পরে গ্যাস আর সিগারেটের আগুন থেইকা এই বিস্ফোরণ হইয়া আগুন ধইরা গেছে।’

হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গ্যাস জমে। সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা ছিদ্র হওয়ায়, ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হয়। তারা তিনজন ট্যাংকের ঢাকনার ওপর বসে ছিল। সেখানে বসে তারা সিগারেট খাচ্ছিল। একপর্যায়ে ভেতরের গ্যাস হুট করে বের হয়ে আগুন ধরে যায়। তিনজন সেপটিক ট্যাংকের ওপরে থাকায় দগ্ধ হয়। বাকি একজন ট্যাংকের নিচে থাকায় বেঁচে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে দিই। হাতিরঝিলে যেসব সেপটিক ট্যাংক আছে, এগুলোর ভেতরে ময়লা পানি ও গ্যাস জমে। সব সময় এখান থেকে গ্যাস বের হয়। স্থানীয়দের কাছেও শুনেছি, ঘটনার সময় সেখান থেকে আগুন বের হয়েছে। ভিকটিমের পা ও শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।’

হাতিরঝিলের সেপটিক ট্যাংকে দর্শনার্থীদের বসতে বাধা দেয়া হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বসতে নিষেধ করি। এ ছাড়া বসতে দেখলে উঠিয়ে দিই। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বখাটেরাও বসে। এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও কয়েকজনকে ওখান থেকে আমি উঠিয়ে দিয়েছি।’

আহতদের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানান, সিয়ামের ১৫ শতাংশ, ফরহাদ আকাশ মইনের ২৪ শতাংশ ও আল কাবিরের ৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন।

দগ্ধ তিনজনের বন্ধু মাহি নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আমাদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহ। আমার বন্ধু আল কাবিরের বারডেম হাসপাতালে ভাইভা ছিল। ভাইভা শেষে আমরা চার বন্ধু হাতিরঝিলে ঘুরতে যাই। ওরা তিনজন হাতিরঝিলের একটি ট্যাংকির ওপর বসে ছিল। আমি একটু নিচে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ একটি আগুনের কুণ্ডলী বের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম হাতিরঝিলে। হঠাৎ বিস্ফোরণে সব এলোমেলো হয়ে গেল। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে তারা পানিতে নেমে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর