বরিশালে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং অপহরণের অভিযোগে ভোলা জেলা কারাগারের এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত কারারক্ষী সজীব হোসেন বরিশালের বাকেরগঞ্জের টেংরাখালীর বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা এ মামলার তদন্ত করতে বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক আবু শামীম আজাদ।
মামলায় ওই কিশোরী বলেছেন, এইচএসসি পড়াশোনার সময় আসামি সজীবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি বোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনালে নিয়ে যান সজীব। সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে সজীবের বোন আসবে না জানিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর ফের বোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন তিনি।
মামলায় বলা হয়েছে, এ ঘটনার পর চলতি বছরের ২৬ মার্চ নগরের প্যারারা রোডের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে মেয়ের অভিভাবকসহ কাজীর মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরী ও সজীবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পরে ৩০ আগস্ট ওই কিশোরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পারেন সজীব তাকে তালাক দিয়েছেন।
পরে বিয়ের আগে ভুল বুঝিয়ে দুইবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ এনে ওই কিশোরী মামলাটি করেন।