ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূর শরীর গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই গ্রাম পুলিশের নাম শাকিল মিয়া। তিনি উপজেলার ৯ নম্বর উচাখিলা ইউনিয়নে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শাকিলকে নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, বুধবার বিকেলে রোকসানা তার দুটি মোরগ বিক্রি করতে ভ্যানগাড়ি করে স্থানীয় উচাখিলা বাজারে যান। সেখানে এমদাদুল হকের চায়ের দোকানের সামনে এক মুরগির পাইকার ভ্যানগাড়িটি থামিয়ে দরদাম করেন। এ সময় দোকানের সামনে লোকজনের ভিড় হওয়ায় এমদাদুলের ছেলে গ্রাম পুলিশ শাকিল রোকসানাকে চলে যেতে বলেন।
পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, রোকসানা যেতে দেরি করায় গালিগালাজ করেন শাকিল। তখন রোকসানা ও শাকিলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়ার একপর্যায়ে দোকানের চায়ের কেটলিতে রাখা ফুটন্ত পানি রোকসানার শরীরে ঢেলে দেন তিনি। এতে রোকসানার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
তিনি জানান, এ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যদি গ্রাম পুলিশ নারীর শরীরে গরম পানি ঢেলে এমন অমানবিক কাজ করে থাকে তাহলে প্রথমে তার বেতন বন্ধ করা হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’