বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্যমান হিন্দু আইন সংবিধানের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:২৪

বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের সভাপতি ময়না তালুকদার বলেন, দেশের সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তায় বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে আইনগুলো সংশোধন না হওয়ায় সেগুলো সনাতন হিন্দু ধর্মের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।

বিদ্যমান হিন্দু আইন বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ।

বাংলাদেশে প্রচলিত প্রথানির্ভর হিন্দু আইন সংশোধনের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শুক্রবার সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় সংগঠনটি।

দেশে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ দীর্ঘকাল ধরে নানাভাবে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে বলে উল্লেখ করা হয় আলোচনা সভায়।

সংগঠনের সভাপতি ড. ময়না তালুকদার বলেন, বাংলদেশের সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে। মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি কোনো আইন রাষ্ট্র প্রণয়ন করবে না সেটাও বলে দিয়েছে।

তবে বছরের পর বছর আইনগুলো সংশোধন ও কোডিফাইড না হওয়ায় আদালতে মামলা পরিচালনা এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হচ্ছে। এই আইন ব্রিটিশ আমলে গৃহীত ও সনাতন হিন্দু ধর্মের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।

তিনি আরও জানান, বৌদ্ধ, জৈন ও আদিবাসী গোত্রের মানুষ আলাদা ধর্মের অনুসারী হলেও তাদের সবাইকে একই হিন্দু আইনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ধর্মের নামে এই আইন প্রচলিত হলেও বাস্তবিক অর্থে এর সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নামেমাত্র। এসব আইন মূলত প্রথাগত।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রথা অনুযায়ী একেক অঞ্চলে একেক রকমের হিন্দু আইন প্রচলিত ছিল উল্লেখ করে ময়না তালুকদার বলেন, ‘আমাদের দেশেও অঞ্চলভেদে প্রথাভিত্তিক হিন্দু আইন প্রচলিত আছে। এই আইন সনাতন ধর্মের অনুসারীদের জন্য সর্বজনগ্রাহ্য সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় বিধান হলে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম আইন হতে পারত না। ব্রিটিশ সরকার তাদের ২০০ বছরের শাসনামলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রথাগুলোকে আইন হিসেবে গ্রহণ করেছিল।

তিনি বলেন, অনেক দেশে বৈষম্যমূলক আইনসমূহ তুলে দিয়ে নারী-পুরুষ সমঅধিকারভিত্তিক সুষম আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রথমে পাকিস্তানের অন্তর্গত ও পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হিন্দুদের ধর্ম পাওয়া যায়।

সংগঠনের সভাপতি ড. ময়না তালুকদার বলেন, সংবিধানে মৌলিক অধিকার নিয়ে বলা আছে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এ ছাড়া কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না বলা আছে।

তিনি জানান, সংবিধানে উল্লেখ আছে রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবে। অথচ প্রচলিত হিন্দু আইনে পিতা-মাতার সম্পত্তিতে পুত্রসন্তানের উপস্থিতিতে কন্যাসন্তানের কোনো অধিকার নেই।

তাই সংবিধানের ওপর ভরসা রেখে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ তাদের কিছু দাবি তুলে ধরে। হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে সরকারের কাছে দাবি জানান ময়না তালুকদার।

হিন্দু অভিভাবকত্ব আইনের লিঙ্গবৈষম্য দূর করে সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের সমান অভিভাবকত্ব ও অধিকারের দাবিও জানায় সংগঠনটি।

পাশাপাশি হিন্দু দত্তক আইন সংস্কারের দাবি জানিয়ে ময়না তালুকদার বলেন, হিন্দু শাস্ত্রে বিবাহবিচ্ছেদ ও নারীর পুনর্বিবাহের সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও বিদ্যমান হিন্দু আইনে বিবাহবিচ্ছেদের কারও কোনো অধিকার নেই। অথচ সমাজে বিচ্ছেদের প্রয়োজন ও চাহিদা আছে। তাই হিন্দু আইনেও বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি চান তারা।

এ বিভাগের আরো খবর