করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করে পরামর্শক কমিটি।
ওই বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা পজিটিভ হার কমে এসেছে। তা ছাড়া ধীরে ধীরে করোনার টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে।
‘এ জন্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া সাপেক্ষে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক সহিদুল্লাহ শুক্রবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি সর্বোচ্চভাবে বিবেচনা করতে হবে।
‘আজ বা আগামীকাল আমরা সরকারকে লিখিতভাবে যে সুপারিশ করব সেই সুপারিশটি সংবাদ বিবৃতিতে আকারে গণমাধ্যম পাঠানো হবে।’
করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠকের পরের দিন শুক্রবার স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া নিয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তার আশা, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যাবে।
চাঁদপুর সদরে দুপুরে মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বর্ধিত করেছিলাম ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আশা করছি, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব।’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা আবারও বসব। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল নেয়। আমরা উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা বলেছেন, অন্তত সকল শিক্ষার্থী যদি প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারে তাহলে ভালো হয়।
‘সে জন্য আমরা একটা তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম অক্টোবরের মাঝামাঝি। এখন তাদের সঙ্গে আবারও কথা বলব। উনারা যদি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে খুলতে রাজি হন কিংবা ভিন্ন কোনো তারিখ নির্ধারণ করেন সেটি উনাদের বিষয়।’
দেশে করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।