বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হলো ৪৪ গেট

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:১৩

তিস্তা ব্যারাজের পানি বিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস আলী জানান, ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের গজলডোবার সব কটি স্লুইস গেট খুলে দেয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

লালমনিরহাটে তিস্তার দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ৫২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্যারেজের ৪৪টি গেটই খুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বন্যার পাশাপাশি জেলার নদীতীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এতে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, সানিয়াযান, গড্ডিমারি, সির্ন্দুনা, ডাউয়াবাড়ি, ভোটমারি, পারুলিয়া, শৈলমারীসহ চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

তিস্তা ব্যারাজের পানিবিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস আলী নিউজবাংলাকে জানান, ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারীর ১০ ইউনিয়নের ১০ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টার পরে তা বেড়ে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তায় আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরে এ নিয়ে চারবার পানি বাড়ল তিস্তায়। বিশেষ করে ভাঙনের কবলে পড়া ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেণ্ডাবাড়ীর চরের দুই নম্বর স্পার বাঁধটির কারণে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডিমলা ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীবেষ্টিত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এতে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে রয়েছেন তারা।’

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ভেণ্ডাবাড়ী চরের ২ নম্বর স্পার বাঁধটির দেড় শ মিটার ভেঙে গেছে। ফলে প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে হাজারের বেশি পরিবার। যদি বাঁধটি রক্ষা করা না যায় তাহলে এ এলাকার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে।

এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। তারপরও কোথাও সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর