বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প শেষ হলে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরের চেরাগআলী এলাকায় চলমান ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে প্রকল্পটিকে ‘গলার কাঁটা’ বলে অভিহিত করেছিলেন মন্ত্রী।
প্রকল্পের ৬৩ শতাংশ শেষ হয়েছে জানিয়ে পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে আগামী বছর আমাদের এই প্রজেক্ট, বিআরটি প্রজেক্টেরও কাজ শেষ হবে। নেক্সট ইয়ারের ডিসেম্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করতে পারবেন, আমরা সেই প্রতীক্ষায় আছি।’
প্রকল্পের কাজের কারণে এই মহাসড়কে দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়ক অত্যন্ত খারাপ। যে কারণে বর্ষাকালে ভোগান্তিটা চরমে পৌঁছেছে। আমি আশা করি, ভোগান্তির শেষ বর্ষা এটাই।
‘এবার চলে গেছে, এ বর্ষার পর আর নিচের দিকে তেমন কাজ নেই। কাজেই ভোগান্তির দিনগুলোর অবসান হবে। এটাই আমি আশা করছি।’
নির্মাণ কাজের যন্ত্রণা আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সাময়িক যন্ত্রণাটা মেনে নেয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাব। এরপর যখন বিআরটি চালু হবে, তখন দুই পাশে ২০ হাজার যাত্রী প্রতি ঘণ্টায় যাতায়াত করবে।’
তিনি আরও জানান, প্রকল্প চালু হলে গাজীপুর থেকে উত্তরা যেতে ৩৫ মিনিট সময় লাগবে।
প্রকল্প পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেতু সচিব নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সবুজ খান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান।
এর আগে প্রকল্পটির সময় আর না বাড়িয়ে দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের।
তেজগাঁও সড়ক ভবনে গত ২২ আগস্ট সাসেক রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-২-এর চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেছিলেন।
সে সময় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষও প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গাজীপুর বিআরটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে আর প্রকল্প বাড়াবেন না। যতটুকু আছে, এটাই আগে শেষ করুন।’