নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারীর ১০ ইউনিয়নের ১০ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টার পরে তা বেড়ে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টির কারণে তিস্তায় আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরে এ নিয়ে চারবার পানি বাড়ল তিস্তায়। বিশেষ করে ভাঙনের কবলে পড়া ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেণ্ডাবাড়ীর চরের দুই নম্বর স্পার বাঁধটির কারণে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ডিমলা ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীবেষ্টিত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চর এলাকার পানিতে তলিয়ে গেছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এতে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে রয়েছেন তারা।’
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ভেণ্ডাবাড়ী চরের ২ নম্বর স্পার বাঁধটির দেড় শ মিটার ভেঙে গেছে। ফলে প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে হাজারের বেশি পরিবার। যদি বাঁধটি রক্ষা করা না যায় তাহলে এ এলাকার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। তারপরও কোথাও সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক মোকাবেলা করা হবে।