বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফুঁসে উঠছে যমুনা

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:১১

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনার পানি বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার অনেক স্থানেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন স্থানে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।’

উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।

সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যুমনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই জেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

যুমনায় পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। ডুবে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনার পানি বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার অনেক স্থানেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন স্থানে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম নিউজবাংলাকে জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৮টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি।

এরই মধ্যে বন্যার্তদের জন্য ১৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। পাঁচ উপজেলায় ১২৫ টন ক্ষয়রাতি চাল এবং পাঁচ লাখ টাকা সাহায্য দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকার ৪১২টি বাড়িঘর আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এনায়েতপুর আরকান্দির চর গ্রামের মকবুল হোসেন জানান, নদীতে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঠের সব ফসল তলিয়ে গেছে। এতে নষ্ট হয়ে গেছে ভুট্টা, মাষকালাই আর বাদামের ক্ষেত।

এ এলাকায় এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা আসেনি বলেও অভিযোগ করেন মকবুল হোসেন।

শাহজাদপুর হাট পাচিল গ্রামের ইদ্দিস প্রামাণিক বলেন, ‘বন্যার পাশাপাশি এই অঞ্চলে তীব্র নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত সাত দিনে নদীভাঙনের এ এলাকার বাড়িঘর, ফসলি জমিসহ চারটি মসজিদ ভেঙে গেছে। এখন নামাজ পড়ার মতো আর কোনো ঘর নেই।’

তিনি আরও জানান, ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন ছয় থেকে সাত গ্রামের মানুষ। ভাঙনের কবল থেকে বাঁচতে তারা ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর