দিনাজপুর পৌরসভায় ঢালাইয়ের ২২ দিনের মাথায় ধসে পড়েছে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের মাঝের অংশ।
জেলা শহরের ৭ নম্বর উপশহর এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে নির্মাণাধীন কালভার্টটির মাঝের অংশ ধসে পড়ে।
ভোরে কালভার্টটির ওপর দিয়ে একটি ১০ চাকার পণ্যবোঝাই ট্রাক যায়। এরপর কালভার্টের মাঝের অংশ ধসে পড়ে যায়।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দিনাজপুরের বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালভার্টটি নির্মাণের বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করা হলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নওগাঁ জেলার মেসার্স বন্ধুরা হাউজ বিল্ডার্স কাজটি পায়। পরে সেটি উপঠিকাদার হিসেবে কিনে নেন দিনাজপুর শহরের উপশহর এলাকার ঠিকাদার রবিউল ইসলাম।
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দিনাজপুরের বিভাগীয় নিবার্হী প্রকৌশলী মোরশেদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, জনবলের অভাবে নির্মাণাধীন কালভার্টটির সঠিক তদারকি করা হয়নি।
‘গত ১২ আগস্ট কালভার্টটির ঢালাই দেয়া হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী ঢালাইয়ের ২৮ দিন পর্যন্ত সাটারিং খোলা যায় না। তবে ঠিকাদার রবিউল অফিসকে অবগত না করে আগেই সাটারিং খুলে ফেলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য কালভার্টটির দুই পাশে ব্যারিকেডও দেয়নি ঠিকাদার। আমাদের জনবল সংকটের কারণে আমরাও সাটারিংয়ের বিষয়টি মনিটর করতে পারিনি। স্থানীদের কাছে জানতে পারি, বৃহস্পতিবার ভোরে মালবাহী ১০ চাকার একটি লোড ট্রাক কালর্ভাটটির ওপর দিয়ে গেলে কালভার্টের মাঝের ঢালাই ধসে পড়ে।’
স্থানীয়রা জানান, উপঠিকাদার রবিউল প্রথম থেকে কাজটি ভালোভাবে করেননি। পুরোনো রড দিয়ে কাজটি করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে প্রকৌশলী মোরশেদ আলমকে বিষয়টি জানালে তিনি এসে পুরোনো রড বাদ দিয়ে নতুন রড দিয়ে নির্মাণ কাজ করতে ঠিকাদারকে বাধ্য করান।
এ বিষয়ে রবিউল বলেন, ‘কালভার্টের সাটারিংয়ের কাঠগুলো চুরি হয়ে গেছে। ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে কালর্ভাটটি ধসে গেছে। এটি পুনরায় নির্মাণ করে দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান প্রকৌশলী মোরশেদ মাহমুদ।