একটি মামলার জামিন শুনানিতে আদালতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল পাঁচ আসামির। তবে তাদের বদলে অন্য পাঁচ ব্যক্তি হাজিরা দিতে এসে বিচারকের কাছে ধরা পড়ে উল্টো তারাই হয়েছেন আসামি, গিয়েছেন কারাগারে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক হাকিম ১ নম্বর আমলী আদালতের অতিরিক্ত বিচারিক হাকিম আবদুল হাইয়ের আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসূন কান্তি দাস।
তিনি বলেন, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ বিকেলে ওই পাঁচজনকে আদালতে তোলে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন।
মামলার পলাতক আসামিরা হলেন সুরুজ মিয়া, আজিম উদ্দিন, মুন্না মিয়া, আবুল কাশেম ও শহর আলী। তারা জেলার নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা।
আর আদালতে আটক ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের সোহেল মিয়া, ময়মনসিংহের নান্দাইলের ওয়ালিউল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও নুরুল্লাহ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বুধবার বিকেলে আদালতের পঞ্চম তলায় বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন বিচারক আরিফুল ইসলাম। এ দিন তিনি নান্দাইলের একটি মামলার পলাতক পাঁচ আসামির জামিন শুনানি করছিলেন। তবে পলাতক পাঁচ আসামি হাজির না হয়ে তাদের বদলে অন্য পাঁচজন এজলাসে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে শুনানির সময় প্রত্যেক আসামির নাম ধরে ডাকা হয়। কিন্তু একটি নাম ডাক দিলে একাধিক ব্যক্তি হাত তোলেন। এমন অবস্থায় তাদের সন্দেহ করেন বিচারক। পরে আসামিদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তারা উল্টাপাল্টা উত্তর দিতে থাকে। তখন পরিচয়পত্র দেখাতে বললে সেটি দেখাতেও তারা ব্যর্থ হন। এ সময় তাদের পুলিশের হেফাজতে তুলে দেয়া হয়।’
ওসি বলেন, ‘ঘটনাটির বিস্তারিত তুলে ধরে থানায় বাদী হয়ে ৯ নম্বর আমলি আদালতের জিআরও আবুল হাসনাত একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তোলা হয়। রোববার রিমান্ড মঞ্জুর হলে আরও বহু তথ্য বেড়িয়ে আসবে।