চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট ও শাহ আমানত হল প্রাঙ্গণে বৃ্হস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান, সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী ও গণিত ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রুহুল আমিন, গণিত ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র বাঁধন ও মেরিন সাইন্স ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ আলী রিমন।
তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিবাদমান গ্রুপ দুটি হলো শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ‘সিএফসি’ গ্রুপ। অন্যটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, জিরো পয়েন্ট থেকে সিএফসি গ্রুপের কর্মী মেহেদী হাসানকে ধাওয়া দেয় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা। এরপরই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আমানত হলে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা সিক্সটি নাইনের তিন কর্মীকে মারধর করে। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘কোনো সংঘর্ষ হয়নি। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। সিনিয়ররা বসে ঠিক করে ফেলেছে।’
‘সিএফসি’ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘ফার্স্ট ইয়ারের জুনিয়দের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। সিনিয়ররা বসে সমাধান করে ফেলেছে। পরিস্থিতি শান্ত এখন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি জেনে আমরা প্রক্টোরিয়াল বডি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আহতদের অবস্থা গুরুতর দেখে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।