মুন্সিগঞ্জে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে বাতিলের দাবি জানিয়ে পাল্টা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন জেলা ছাত্রদলের ৮০ ও ৯০ দশকের সাবেক নেতারা।
একই সঙ্গে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের চারণ সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রফিকুল ইসলাম মাসুম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৭ সালে আব্দুল হাইকে সভাপতি ও কামরুজ্জামান রতনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপির সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ বছর পার হলেও ওই কমিটি পূর্ণাঙ্গ কোনো কমিটি গঠন করতে পারেনি।
আব্দুল হাইকে আহ্বায়ক ও কামরুজ্জামান রতনকে সদস্যসচিব করে ৫৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২৫ আগস্ট বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রফিকুল ইসলাম মাসুম বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির কোথাও রাখা হয়নি জেলা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতাদের।’
জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদুর রহমান। এ সময় তিনি রফিকুল ইসলাম মাসুমকে আহ্বায়ক ও মিয়া মো. বাবুল সরকারকে সদস্যসচিব করে জেলা বিএনপির ২৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘এ কমিটিতে চারজন যুবদলের, সাতজন বিএনপির নেতাসহ ছাত্রদলের সাবেক নেতারা আছেন।’
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শ্যামলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস কাজী আবু সুফিয়ান বিপ্লব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদুর রহমান, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি তারিক কাশেম খান মুকুল, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মিয়া মো. বাবুল সরকারসহ অনেকে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল হাই বলেন, ‘৫৮ সদস্যের যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে বিএনপির মূল দলের বাইরের কাউকে রাখা হয়নি। এ কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি অবশ্যই সবাইকে নিয়েই গঠন করা হবে। যারা বাদ পড়েছেন তারাও ঠাঁই পাবেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে।
‘একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। পাল্টা কমিটি ঘোষণা করতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের এ কমিটি মেনে নেবে কি না, সেটি দেখার বিষয়।’