নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির বিষয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখ ঠিক করেছে আদালত
বৃহস্পতিবার এ তারিখ ঠিক করেছেন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ (অস্থায়ী) শেখ হাফিজুর রহমান।
এদিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে নিয়মিত আদালত ছিল না। এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। আর্থ্রাইটিসসহ নানা অসুখের জটিলতায় ভুগছেন।
‘এ অবস্থায় তার পক্ষে সরাসরি আদালতে হাজির হওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপরেও আমরা চেষ্টা করব তাকে আদালতে হাজির করা যায় কি না।’
মামলাটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ বার তারিখ পড়লেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি বেগম জিয়া।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, ‘৬ মে মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। করোনা মহামারির কারণে আদালতের স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ থাকায় ওই দিন চার্জ গঠন শুনানি হয়নি। বিচারিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় বিচারক নতুন এ দিন ঠিক করেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।