ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিলেটের সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাসহ দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে দুদকের উপপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম এবং এসআই মনিরুজ্জামান মুক্তি সাক্ষ্য দেন।
তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামি ৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ঠিক করে।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মতিয়ার রহমান।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে পার্থ গোপাল বণিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি সাক্ষীদের জেরা করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সওকত হোসেন এসময় আদালতে উপস্থিত থেকে সাক্ষীদের সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকালে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে তার বাসায় অভিযান চালায় দুদক। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে পার্থের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানায়।
গত বছর ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। গত বছর গত ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
গত ১৭ জুন পার্থ গোপালের জামিন মঞ্জুর করেন একই আদালত। এরপর ২৩ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত পার্থের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার পার্থের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। তাকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। পার্থ গোপাল বণিক ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।