প্রতারণা করে গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে রিমান্ডফেরত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মো. সোহেল রানা ও এস এম সাজেদুল ইসলাম রুবেলসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন।
এর আগে ২৩ আগস্ট তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
এ মামলায় ২৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। এ সময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।
মামলায় তাহেরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বারবার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি।
অভিযোগে তিনি লিখেছেন, সর্বশেষ ই-অরেঞ্জ গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও ডেলিভারি দেয়নি। এ ছাড়া তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।
গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘এই করোনা মহামারির সময় আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না। বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এ ছাড়া আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।’