পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যমুনা অয়েল কোম্পানি ও বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিটি-১ এর মধ্যে এলপিজি বিষয়ে চুক্তি হলেও এতে কোম্পানি দুটির আপাতত কোনো মুনাফা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এক নোটিশে জানানো হয়েছে, যমুনা অয়েল ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে প্রতি লিটার এলপিজি বিক্রির বিপরীতে ৫০ পয়সা করে রয়্যালটি দেবে বেক্সিমকো এলপিজি।
যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনচারী ও বেক্সিমকো এলপিজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল রায় চুক্তিতে সই করেন। এই চুক্তির ফলে দুই পক্ষের কোন পক্ষ মোট কত টাকা আর্থিক আয় করবে-সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি।
এলপিজি হচ্ছে তরল গ্যাস, যা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি কোম্পানি দেশে এলপিজি বিক্রিতে জড়িত, যার একটি বেক্সিমকো লিমিটেড।
এমনিতে ঊর্ধ্বগামী থাকা বেক্মিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর এই চুক্তির বিষয়টি প্রকাশের পর আরও বেড়েছে। শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে ১১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে শেয়ারদর হয়েছে ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা।
এটি এই চুক্তির ফসল কি না, তা বোঝা সম্ভব নয়। তবে নতুন চুক্তিতে আপাতত কোনো কোম্পানির আর্থিক কোনো সুবিধা হবে না বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন যমুনা অয়েলের কোম্পানি সচিব মাসুদুল আলম।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার যানবাহনে সিএনজি থেকে সরে আসার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে এলপিজির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে মানুষ। এই অবস্থায় আমরা বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে রাখছি। এমন চুক্তি আমাদের আছে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
কেবল যমুনা অয়েলের সঙ্গে চুক্তি করলেই হবে না, বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিটকে চুক্তি করতে হবে নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনগুলোর সঙ্গেও। আবার সব ফিলিং স্টেশনেও এলপিজি বিক্রিও করা যাবে না।
সারা দেশে যমুনার প্রায় সাড়ে সাতশ অনুমোদিত পেট্রল পাম্প আছে।
যমুনা অয়েলের মোট শেয়ারের ৬০.০৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সরকারের কাছে। ৯.৭৩ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও ২৬.৮০ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। কোম্পানির ২.৯০ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে।
অন্যদিকে বেক্সিমকো এলপিজির মূল প্রতিষ্ঠান বেক্মিমকো লিমিটেডের ৩০.৫৫ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। ১৮.২২ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। ১.৪৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে আছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বাকি ৪৯.৭৬ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।