বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫০ হাজারের অস্ত্র সীমান্ত পার করে বিক্রি লাখ টাকায়

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৪২

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রটির হোতা আকুল নিজে বা তার বিশ্বস্ত লোকজনের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন। আকুল ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক অস্ত্র বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেন। বিশেষ করে চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র কেনা হতো বলে জানিয়েছেন চক্রের এই হোতা।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টাকায় কেনা অবৈধ অস্ত্র সীমান্ত পার করে দেশে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করত চোরাকারবারি একটি চক্র। এসব অস্ত্র ব্যবহার হতো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির কাজে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এমন প্রায় ২০০ অবৈধ অস্ত্র দেশে বিক্রি করেছে চক্রটি।

এই চক্রের পাঁচ অস্ত্র চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, একটি বিদেশি পিস্তল, ১৬টি ম্যাগাজিন ও ৮টি গুলি উদ্ধার করে ডিবি।

বুধবার রাতে মিরপুর, দারুস সালাম ও গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন আকুল হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুল আজিম, ফারুক হোসেন ও ফজলুর রহমান। তারা যশোরের বেনাপোল ও শার্শা এলাকার বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

চক্রের পাঁচ অস্ত্র চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ছবি: নিউজবাংলা

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রটির হোতা আকুল নিজে বা তার বিশ্বস্ত লোকজনের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন। চক্রটির হোতা আকুল ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক অস্ত্র বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, তারা ৫০ হাজার টাকায় কেনা অস্ত্র দেশে বিক্রি করতেন ৮০-৯০ হাজার টাকায়। এসব অস্ত্র ভারত থেকে সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আনা হতো। এসব অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। বিশেষ করে চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র কেনা হতো বলে জানিয়েছেন চক্রের হোতারা।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিবির গুলশান বিভাগ বিভিন্ন অপরাধীর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা একাধিক মামলার তদন্তে জানা যায়, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীর একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা যশোর, বেনাপোল থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে তা দেশে অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করত।

বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী যশোর, বেনাপোল এলাকার কে বা কারা এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তা তদন্তে গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণা করা হয় বুধবার গভীর রাতে আন্তর্জাতিক অস্ত্র বেচাকেনা দলের সদস্যরা বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি নিয়ে অপরাধীদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রাইভেট কারে করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড হয়ে ঢাকায় ঢুকবেন। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিবি গুলশান বিভাগের তিনটি টিম দারুস সালাম এলাকার দিয়াবাড়ী রাস্তা, বেড়িবাঁধ রাস্তা ও কল্যাণপুর সড়কে নজরদারি বাড়ায়।

রাত আনুমানিক সোয়া তিনটার দিকে গাবতলী ব্রিজের ইউলুপ দিয়ে সন্দেহজনকভাবে একটি সিলভার রঙের প্রাইভেট কার দ্রুতগতিতে উত্তর দিকে যেতে থাকলে দিয়াবাড়ী টিম রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় এবং অন্য টিমগুলো প্রাইভেট কারটির পিছু ধাওয়া করতে থাকে।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ডিবির সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি দিয়ে দারুস সালাম বেড়িবাঁধ বড় বাজার আক্তার হাজীর মাংসের দোকানের সামনের রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করে। জ্যামে আটকা পড়া গাড়িটিকে জব্দ করার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশ সদস্যরা এর যাত্রীদের গ্রেপ্তার করেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, অস্ত্র চোরাচালানসহ চক্রের সদস্যরা তক্ষক প্রতারণা, সীমান্ত পিলার, সাপের বিষ, গোল্ড স্মাগলিং, প্রত্নতাত্ত্বিক মূর্তি, ইয়াবা, মাদকের (আইস) ব্যবসা করতেন।

এ বিভাগের আরো খবর