মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয়ার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তিন দফায় রিমান্ডের আদেশ দেয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না, মো. মুজিবুর রহমান, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে এ বিষয়ে বুধবার শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছিল। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে সময় চাওয়ায় আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেয়।
পরীমনির জামিন শুনানির আবেদন শুনতে বিচারিক আদালত দীর্ঘ সময় দেয়ায় বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। পরে হাইকোর্টের আদেশে শুনানি করে জামিন দেয়া হয় নায়িকাকে।
জামিন আদেশের পর বুধবার কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি।
গত ৪ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
পরে ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
সে মামলায় তিন দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয় পরীমনিকে।