বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বলাকার সামনে পাইলট নওশাদের জানাজা

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৭

জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে নেয়া হয়। সেখানে মায়ের কবরের পাশে তার দাফন হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকার সামনে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর জানাজা হয়।

জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে নেয়া হয়। সেখানে মায়ের কবরের পাশে তার দাফন হবে।

পাইলট নওশাদের মরদেহ উত্তরার বাসা থেকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইনসের কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে সহকর্মী, স্বজন, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীদের অংশগ্রহণে হয় জানাজা।

জানাজা পরিচালনা করেন বলাকা মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা আব্দুল্লাহ হিল কাইয়ুম।

জানাজার আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদ আমাদের বিমান পরিবারের একজন সদস্য। তিনি দক্ষ পাইলট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে ও সংকটকালীন মুহূর্তে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়ে গেছেন। মানুষের সেবায় তিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে পাইলট নওশাদের মরদেহ দেশে এসে পৌঁছে। ভারতের নাগপুর থেকে বিমানের বিজি-০০২৬ ফ্লাইটে সকাল ৯টা ১১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ আনা হয়।

গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাসকাট থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে ঢাকায় ফেরার পথে মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েন নওশাদ। এ সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

এমন পরিস্থিতিতে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি ভারতের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন ১২৪ জন। পরে জানা যায়, নওশাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।

ওই রাতেই বিকল্প পাইলট ও ক্রু পাঠিয়ে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। আর নওশাদকে ভর্তি করানো হয় নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে।

হাসপাতালে কয়েক দিন চিকিৎসাধীন থাকা ক্যাপ্টেন নওশাদকে সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালটির হিমঘরে রাখা হয় তার মরদেহ।

এর আগে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ঝুঁকিপূর্ণ একটি ফ্লাইট নিরাপদে অবতরণ করিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হন পাইলট নওশাদ। বিজি-১২২ ফ্লাইটটিতে ১৪৯ যাত্রী, ৭ ক্রু ও দুজন কো-পাইলট ছিলেন। বলতে গেলে নওশাদের দক্ষতায় বেঁচে যায় তাদের জীবন।

এ বিভাগের আরো খবর