১ লাখ ২৮ হাজার টাকা যৌতুক মিটিয়ে ২০১৬ সালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর লক্ষ্মীদাসী গুচ্ছগ্রাম এলাকার বানেসার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পাশের এলাকার শাহীন আলমের।
বিয়ের দিন যৌতুকের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বানেসার পরিবার শাহিনকে দিলেও বাকি ১৮ হাজার টাকা তখন দিতে পারেনি।
বিয়ের পাঁচ বছর পর যৌতুকের বাকি ১৮ হাজার টাকা বাবার কাছ থেকে আনতে না পারায় বানেসা বেগম নামের ওই গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বানেসা বেগমের মৃত্যু হয়।
মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগে বানেসার বাবা ইয়াছিন আলী বাদী হয়ে শাহিনকে প্রধান করে তিনজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন বলেন, মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পারিবারিকভাবেই বানেসার বিয়ে হয় শাহিনের সঙ্গে। বিয়ের সময় ছেলেপক্ষকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা অগ্রিম দিতে পারলেও অভাব-অনটনের সংসারে ৫ বছর পরেও বাকি ১৮ হাজার টাকা দিতে পারেনি বাবা ইয়াছিন।
১৮ হাজার টাকার জন্য বানেসাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন শাহিন। বুধবার আবারও বানেসাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বানেসা। অবস্থার অবনতি হলে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
ওসি ইজার উদ্দীন বলেন, ‘মামলার দুই আসমি এখনও পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’