হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ছয় দিন পর আদালতে মামলা করেছেন তার স্বামী। তাতে আসামি করা হয়েছে আটজনকে। মামলার পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মামলা করা হয়। বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ তা আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করতে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম। একজন গ্রেপ্তারের বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে তার নাম-পরিচয় জানাননি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এক মাস আগে বিয়ে হয় মামলার বাদীর। স্ত্রীকে নিয়ে গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের হাওরে নৌকাভ্রমণে যান তিনি। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন।
বাদীর অভিযোগ, সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের কয়েকজন যুবক তাদের নৌকার গতি রোধ করেন। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখেন। তার স্ত্রীকে ওই নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।
ওই নারীর স্বামী জানান, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন করে রেখেছিলেন তিনি।
তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন বলে জানান নববধূর স্বামী।
তিনি বলেন, টাকা না দেয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাদিরা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে বোঝা যাবে না।’