বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লইসকার বিলে দুর্ঘটনা: ‘দুটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয় ট্রলারকে’

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:২২

ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ট্রলার চালকের অদক্ষতাসহ বেশ কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছেন কমিটির সদস্যরা। তারা বলছেন, দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। নৌপথে দুর্ঘটনারোধে থাকবে বেশ কিছু সুপারিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার লইসকার বিলে নৌদুর্ঘটনা নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে কমিটির সদস্যরা বলছেন, ওই দিন যাত্রীবাহী ট্রলারকে ধাক্কা দেয় একটি নয় দুটি বালুবাহী বাল্কহেড। এতেই মৃত্যু হয় ২৩ জনের।

ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ট্রলার চালকের অদক্ষতাসহ বেশ কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছেন কমিটির সদস্যরা। তারা বলছেন, দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। নৌপথে দুর্ঘটনারোধে থাকবে বেশ কিছু সুপারিশ।

তদন্ত কমিটি বুধবার পর্যন্ত বেঁচে যাওয়া যাত্রীসহ অন্তত ৩০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল রেজা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। এখন পর্যন্ত বেঁচে যাওয়া যাত্রীসহ ৩০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছি। সব সাক্ষীর তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করা হবে।

‘দুর্ঘটনা রোধে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে কয়েক দফা সুপারিশ করা হবে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে ট্রলারের চালক অদক্ষ ছিল, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া হয়েছিল, এসব বিষয় পরিষ্কার হওয়া গেছে। আরও একাধিক কারণ নির্ণয় করা হয়েছে।

বেঁচে যাওয়া যাত্রী জামাল মিয়ার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দুটি বড় আকারের বাল্কহেডকে এগুতে দেখেন ট্রলার চালক। তিনি দ্রুত পাশ কেটে যেতে চাইলে প্রথমে একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। পেছন থেকে আসা আর একটি বাল্কহেড এর পর পরই ধাক্কা দেয় সেটিকে।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘একাধিক সাক্ষীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এর মধ্যে একজন মুড়িওয়ালার (নাম প্রকাশ করেনি তদন্তের স্বার্থে) আমাদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। এ সময় আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়।

তিনি জানান, ‘ট্রলারটির কোনো ফিটনেস ছিল না। ছিল না চালকের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ। অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল। এসব কারণ সামনে রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করা হবে। এর মধ্যে চলাচলকারী সব যাত্রীবাহী ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই যেন অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করা না হয় সেই বিষয়টি ঘাটে দায়িত্বরতদের নিশ্চিত করতে হবে। এর দায়-দায়িত্ব ঘাট পরিচালনা কমিটিকে নিতে করতে হবে।

পাশাপাশি প্রতিটি ঘাটে যেন বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে জেটি বা পন্টুন থাকে সে বিষয়টি সুপারিশে উল্লেখ থাকবে।

দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রলারের মাঝি হিসেবে পরিচিত ‘সোনা মাঝি’ পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামে।

এ বিভাগের আরো খবর