বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে আওয়ামী লীগ কখনও বিতর্কিত করেনি জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের নেতাকে বিতর্কিত করেছে বিএনপি নিজেই।
রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বুধবার তিনি এ কথা বলেন।
জিয়াকে কীভাবে বিএনপি বিতর্কিত করেছে, সেটিও ব্যাখ্যা করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজের জীবদ্দশায় কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক না বললেও এখন বিএনপি নেতারা স্বাধীনতার অন্যতম পাঠককে ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করছেন।
‘জিয়াকে ইতিহাসের নায়ক বানাতে গিয়ে বিএনপি নেতারা তাকে শুধু বিতর্কিতই করেননি, ইতিহাসের কাঠগড়ায়ও দাঁড় করিয়েছেন।’
জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার শুরু হয়েছিল- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটি বিএনপি নেতাদের সর্বশেষ আবিষ্কার এবং ইতিহাস বিকৃতির নবরূপ।’
তিনি বলেন, ‘জাতিকে ধাপে ধাপে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ বিএনপি বঙ্গবন্ধুর পাশে জিয়াকে প্রতিষ্ঠা করার যে অপচেষ্টা করছে, তা চরম ধৃষ্টতার শামিল।’
জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত হয়েছেন বলেও মনে করেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আওয়ামী লীগ কখনো বিতর্কিত করেনি। উচ্চাভিলাষী ও অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডে জিয়া নিজেই ভিলেন হিসেবে জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘একজন মহানায়ক, আজন্ম সংগ্রামী মুক্তির রোল মডেলের পাশে গণতন্ত্র হত্যাকারী, হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি, মুখোশ পরা গণতন্ত্রীর স্থান হতে পারে না।’
বিএনপির বিগত ৪৩ বছরের ইতিহাসকে ‘মিথ্যার বেসাতি এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ইতিহাস’ বলেও অভিহিত করেছেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে বিএনপির মায়াকান্না তাদের কমিটমেন্টের অন্তঃসারশূন্যতা প্রকাশ করে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফাঁকা বুলি কেবল বিএনপির মুখেই মানায়।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে এবং জনগণও এটাই প্রত্যাশা করে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।