করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের কারণে ব্যাংক ঋণে সুবিধার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে আবার ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আপাতত ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ জমা দিয়েই নিয়মিত গ্রাহক থাকা যাবে। কেউ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না।
সম্প্রতি ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রেও ২৫ শতাংশ ঋণের কিস্তি পরিশোধে সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ’ থেকে ‘ঋণ শ্রেণিকরণ ’ শিরোনামে সার্কুলারে এই আদেশ জারি করা হয়।
গত বছরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ২০২০ সালের পুরো সময়ে ঋণ পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পান গ্রাহকরা।
তবে ২০২১ সালের শুরু থেকে এই সুবিধা পুরোপুরি বহাল রাখেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এ কারণে ছয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ঋণ পরিশোধে নতুন করে ছাড় দেয়া হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল রাখতে চলতি বছরের জুন মাসে ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বা গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বছর ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই সময়ে ঋণ শ্রেণিকরণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সুযোগ আবারও চার মাস বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই সময়ে ঋণ শ্রেণিকরণ করা যাবে না। অর্থাৎ ঋণের কিস্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ টাকা হলে ৫০ টাকা পরিশোধ করলেই এ বছর গ্রাহক নিয়মিত হয়ে যাবে।
‘এছাড়া কিস্তির অবশিষ্ট অংশ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।’
এতে বলা হয়, ঋণের হিসাবগুলো সুদ মুনাফা শুধুমাত্র আদায় সাপেক্ষে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে। ঋণের সুদ হিসাব চলমান নীতিমালায় অনুসরণ করতে হবে। তবে, এ সময় কোনো দন্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না।