প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বিএনপির প্রতি তার কী প্রত্যাশা, সেটিও জানিয়ে রাখলেন তিনি।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্র্যাব) অনলাইন পোর্টাল ক্র্যাবনিউজবিডিডটকম-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান করেন।
এই দিনটি ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হিসেবে পালন করছে বিএনপি। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সে সময়কার সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দলটির জন্ম। আওয়ামী লীগ সব সময় বিএনপিকে ‘ব্যারাকে জন্ম হওয়া দল’ বলে সমালোচনা করে আসছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, বিএনপি এতদিন ধরে যে যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, পেট্রোল বোমার রাজনীতি করে আসছিল, সেই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। তাহলে দেশ এবং রাজনীতি উপকৃত হবে।’
অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতার সমাজের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সমাজে অনেক অনেক অপরাধের বিচার হয়, আবার বহু অপরাধ ঢাকা পড়ে যায়। বিশেষ করে বিত্তশালী-ক্ষমতাশালীদের অপরাধ অনেক সময় ঢাকা পড়ে যায়। আমি মনে করি সেই অপরাধগুলোকে জনসম্মুখে তুলে আনার ক্ষেত্রে ক্রাইম বিটের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
ফৌজদারি অপরাধের পাশাপাশি, অর্থনৈতিক অপরাধও প্রকাশ হওয়া উচিত বলে মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘পাশাপাশি সমাজের ভাষাহীন মানুষের বেদনা প্রকাশের দায়িত্বও সাংবাদিকদের ওপর বর্তায়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো পোর্টাল চায় না সরকার
সভায় সাংবাদিকদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অনলাইন পত্রিকা এবং আইপি টিভি এখন যুগের বাস্তবতা। অনলাইন পত্রিকা থাকবে, আইপি টিভিও থাকবে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা পোর্টালের প্রয়োজন নেই।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ আইন বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য। যখন ডিজিটাল বিষয়টা ছিল না তখন এ ধরণের আইনের প্রয়োজন ছিল না, এখন ডিজিটাল যুগে এ ধরণের আইনের প্রয়োজন।’
প্রায় সব দেশে এ ধরনের আইন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।’
অন্যান্য দেশের মতো দাপ্তরিক গোপনীয়তার আইন বাংলাদেশেও কার্যকর আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে, তথ্য কমিশন গঠন করেছে।’
২০১৪ সালে কমিশন গঠন হওয়ার পর ২০২০ পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩১টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ক্র্যাবের প্রধান উপদেষ্টা শংকর কুমার দে, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, খায়রুজ্জামান কামাল, মোতাহার হোসেন সভায় বক্তব্য রাখেন।