রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের করা দুই মামলায় হেফাজতের নেতা আজহারুল ইসলাম ও মুফতি শরিফ উল্লাহর জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী বুধবার শুনানি শেষে তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরুদ্ধে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফ উল্লাহকে।
মামলা দুটিতে জামিনের জন্য আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মো. পারভেজ ও মঞ্জুরুল কবির মাসুদ আদালতে আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, ঘটনার সঙ্গে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। রিমান্ডে নিয়ে তদন্তে অগ্রগতি হয়নি। এ ছাড়া আসামিদের কাউকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। শুধু সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে তাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই তাদের যেকোনো শর্তে জামিন দিলে আইনের ব্যত্যয় হবে না।
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. পারভেজ।
গত ১৫ জুন ভোরে আজহারুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় করা নাশকতার মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর পল্টন থানায় করা ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।
মুফতি শরিফ উল্লাহকে ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগ। ২০১৩ সালের রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ওই বছরের ৬ মে যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। পরে পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।