বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নয়নের নামে গ্রাম ক্ষত-বিক্ষত নয়: মন্ত্রী

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০০

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রামগুলো এখনও অক্ষত রয়েছে, সেগুলো ক্ষত-বিক্ষত করা যাবে না। এজন্য গ্রামাঞ্চলে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

প্রতিটি গ্রামে শহরের মতো নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও উন্নয়নের নামে গ্রামগুলোকে ক্ষত-বিক্ষত করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার (ইএএলজি) প্রকল্প আয়োজিত করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুধবার অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, গ্রামে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ সকল অবকাঠামো অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করতে হবে। গ্রামে কোনো অবকাঠামো নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেয়ার বিধান যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার।

তিনি বলেন, ‘শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রামগুলো এখনও অক্ষত রয়েছে সেগুলো ক্ষত-বিক্ষত করা যাবে না। এজন্য গ্রামাঞ্চলে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো যত শক্তিশালী হবে উন্নয়নের গতি তত ত্বরান্বিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য দরকার জনগণের অংশগ্রহণ।’

জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাজুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব পালনে জনপ্রতিনিধিদেরকে দায়িত্বশীল হতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে এসে মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং আবেদন প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদে এসডিজিবান্ধব পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশনা এবং বেশ কিছু নীতি প্রণয়ন বিষয়ক কার্যক্রমে ইএএলজি প্রকল্পের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরকে সেবা দেয়ার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ যখন জানবে সমাজ হতে অন্যায়-অবিচার নির্মূল করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে তখনই আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাবে।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি ও প্রকল্পভুক্ত নয়টি জেলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার পানির কল, সাবান, কাপড়ের মাস্ক ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর