বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে প্রতীকী অনশনে হামলার অভিযোগ

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৩৬

সাংবাদিক তারেক মাহমুদ বলেন, ‘আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক কর্মসূচির তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। তখন এক দল যুবক হামলা করে মারধর শুরু করে। আমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে রাজশাহীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশের সামনেই নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই হামলা হয়।

এ সময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক সোনার দেশের নিজস্ব প্রতিবেদক তারেক মাহমুদকে লাঞ্ছিত করা হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মাঝে মাঝেই রাজশাহীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি পালন হয়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ করেন।

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, অভিভাবক মাহমুদ জামাল কাদেরীসহ অনেকেই।

রাজশাহীর বেসরকারি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ এতে সভাপতি ছিলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহাব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ছাত্রনেতা তামিম শিরাজী, শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ খান, নাদিম সিনা, জান্নাতুল সাবিরাসহ অনেকেই।

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শুরু করলে ৩০-৩৫ জন যুবক এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

এ সময় মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। কয়েকজনকে মারধরও করা হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

সাংবাদিক তারেক মাহমুদ বলেন, ‘আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক কর্মসূচির তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। তখন এক দল যুবক হামলা করে মারধর শুরু করে। আমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নাদিম সিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। তারা আমাকে মারধর করেছে। আরও কয়েকজনকে মারধার করা হয়েছে।’

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলন করেন, তাহলে তো সেটা যৌক্তিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিত। আমরাও সেটা মনে করি। তাহলে ওই আন্দোলনে আমরা কেন হামলা চালাব।’

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘রাস্তা দখল করে বসে থাকার জন্য কিছু ছেলে এসে বাধা দিয়েছে। এটা হামলার মতো ঘটনা না। তারপরও আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। কেউ কোনো অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর