গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ২৭ দিন থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি।
কারাগার সূত্র জানায়, মহিলা কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনের একটি কক্ষে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন পরীমনি। এই কক্ষে একটি খাট ও টেবিল-চেয়ার ছিল। বেশির ভাগ সময় বিমর্ষ দেখা গেছে পরীমনিকে। কারাগারে অন্য বন্দিদের সঙ্গে তাকে কথা বলতে দেখা যায়নি।
কারাগারের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, বন্দি অবস্থায় যেসব খাবার দেয়া হতো, তা পছন্দ করতেন না পরীমনি। প্রায়ই বার্গার আর কোক খেতে চাইতেন। তবে কারাগারের ক্যানটিনে বার্গারের সরবরাহ নেই। মাঝেমধ্যে তাকে কোক দেয়া হতো।
কারাগারে বোতলজাত পানি খেতেন পরীমনি, এই পানি আসত ক্যানটিন থেকে।
একটি সাদা রঙের গাড়িতে বুধবার সকালে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন পরীমনি। এ সময় তার চোখে চশমা ও পরনে সাদা পোশাক ছিল। মাথায় পেঁচানো ছিল একটি সাদা কাপড়।
হাস্যোজ্জ্বল পরীমনিকে দেখতে ভিড় জমে যায় কারাফটকে। ভক্তদের উদ্দেশে হাত নেড়ে তিনি শুভেচ্ছার জবাব দেন। এ সময় তার হাতে মেহেদি ছিল। ‘মেহেদি’ দিয়ে তিনি হাতে লেখেন ‘Dont love me bitch’, বাংলায় যার ভাবার্থ দাঁড়ায় ‘তোমার ভালোবাসার পরোয়া করি না’।
কারাগার সূত্র জানায়, নারী বন্দিদের জন্য ক্যানটিনে চিরুনি, ক্লিপসহ সাজসজ্জার নানা উপকরণ আছে। সেখান থেকেই মেহেদি সংগ্রহ করতে পারেন পরীমনি।
পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে গত ৪ আগস্ট মাদকদ্রব্যসহ আটক করে র্যাবের একটি দল। পরের দিন বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে বাহিনীটি।
সেই মামলায় মঙ্গলবার জামিন পান পরীমনি। আদেশের কাগজ কারাগারে যেতে সময় লাগায় বুধবার সকালে তিনি কারামুক্ত হন।