বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শোকসভায় হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৪

কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক বলেন, ‘পৌর আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে উত্তেজনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। কিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন কি না, সেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি।’

মাদারীপুরের কালকিনিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে আওয়ামী লীগের ছয় কর্মী আহত হয়েছেন।

কালকিনি পৌরসভার পাঙ্গাশিয়া এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। এর পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বুধবার সকালেও সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাশার উকিলের উদ্যোগে আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিল শুরু হয়। বিকেল ৫টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা সভায় হামলা চালায়। তখন বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট বাশার উকিলের দাবি, হামলা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান সরদারের নেতৃত্বে।

তবে তৌফিকুজ্জামান শাহীন ও লোকমান সরদার হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।

কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ‘আগস্টের শেষ দিন হওয়ায় আমাদের পূর্বনির্ধারিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম। আসরের নামাজের পর অনুষ্ঠান শুরু করব এমন সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দল বেঁধে এসে আমাদের লক্ষ্য করে তিনটা হাতবোমা নিক্ষেপ করেন।’

আওয়ামী লীগের শোকসভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে অপরপক্ষের বিরুদ্ধে। ছবি: নিউজবাংলা

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘পুরো আগস্ট মাস গেল তার (আবুল বাশার) দেখা পাওয়া যায়নি। এখন এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমে আসাদের ওপর হামলার দায় চাপাচ্ছেন। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে আমি জানি না।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান সরদার বলেন, ‘পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬৫ জনের মতো নেতা-কর্মী পৌর নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তারা হঠাৎ করে দলীয় কার্যালয় ছেড়ে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে কেন এমন কর্মসূচি করেছে জানি না। সেখানে হামলা কে করেছে সেটাও আমার জানা নেই। এখন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক বলেন, ‘পৌর আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে উত্তেজনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। কিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন কি না, সেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনায় কোনো পক্ষ যদি আমাদের কাছে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব। পৌর এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর