বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র ও খালেদাকে মুক্ত করা: ফখরুল

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:২৫

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জনানোর পর মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি ৪৩ বছরে সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। এ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বিএনপি আজকে ৪৪ বছরে পা দিয়েছে। এখন বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা এবং আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।’

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই দলের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি ৪৩ বছরে সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। এ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বিএনপি আজকে ৪৪ বছরে পা দিয়েছে। এখন বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা এবং আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।’

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে হারের পর আরও কয়েকটি নির্বাচন গেলেও ক্ষমতায় আসতে পারেনি বিএনপি। এর মধ্যে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ। বাসায় থাকলেও তেমন কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা নেই খালেদার। দলের বেশির ভাগই দিকনির্দেশনা আসে লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কাছ থেকে।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বর্তমান সরকারের নিপীড়নের কারণে বিএনপিকে সীমিত পরিসরে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। মানুষ তাদের ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা। পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এত কিছুর পরও বিএনপি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে নিজের পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমরা সীমিত পরিসরে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, দলকে সংগঠিত করছি। সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় আমরা আন্দোলন করছি।’

ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম, যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ জাতি যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিল, সে অধিকারগুলো তারা হারিয়ে ফেলেছে। আজকে জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে নির্বাচন হয় না। নির্বাচন কমিশন একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। পুরো প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। সার্বিক অর্থে ছদ্মবেশী একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা দেশে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়া হচ্ছে, বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ফখরুলের। তিনি বলেন, ‘আমাদের লজ্জা হয়, দুঃখ হয়। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আসি তখন আমাদেরকে বাধা দেয়া হয়।

‘আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি চালানো হয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজকে এখানে ৩০ জনের বেশি আশা যাবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এই এলাকা নাকি আরও বড় নিরাপত্তাবলয়ে চলে গেছে। তারা সম্পূর্ণভাবে বাধার সৃষ্টি করছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কবর এবং তার লাশ নিয়ে যারা কথা বলে এসব বিষয়ে কথা বলতে আমাদের রুচিতে বাধে। এটা জাতির দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এসব কথা বলা হয়। আমরা খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়েছে। সুতরাং তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব চিন্তা করা যায় না।’

জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘উনাকে উনার নিজের চ্যালেঞ্জ নিতে বলেন। ওনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না সেটা আগে প্রমাণ করুক।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর