স্ত্রী ড. ফেরদৌসী কাদরীর র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্তির খবর আসার এক দিন পরই চলে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক সালেহীন কাদরী।
রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন কাদরী। মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) জনসংযোগ কর্মকর্তা তারিফুর রহমান খান বুধবার সকালে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (জৈব রসায়ন) বিভাগের শিক্ষক ছিলেন সালেহীন কাদরী। বিভাগটি প্রতিষ্ঠায় অবদান ছিল তার।
অবসর গ্রহণের আগে বিভাগটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন কাদরী।
তারিফুর রহমান খান জানান, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সালেহীন কাদরী। প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কিছুদিনের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি।
শারীরিক অবস্থার অবনতিতে কাদরীকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দ্বিতীয়বার এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় তাকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বেশ কিছুদিন ছিলেন সেখানেই।
বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে সালেহীন কাদরীর জানাজা হবে। এরপর তাকে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।
গতকাল সালেহীনের স্ত্রী ড. ফেরদৌসী কাদরীর র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার অর্জনের খবর প্রকাশ হয়। আইসিডিডিআর,বির মিউকোসাল ইমিউনোলজি এবং ভ্যাকসিনোলজি ইউনিটের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী।
বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের জন্য কম দামে নতুন ধরনের কলেরা টিকা উন্নয়নে কাজ করেছেন এ বিজ্ঞানী।